Monday, August 4, 2014

আমাকে বলা হলো হতাশার মানে কী!?

 (ক)
আমাকে বলা হলো একদিন তুমি কি হতাশার মানে বলবে!?
বলা হলো, এই পৃথিবীর সবকিছু কেমন যেন হতাশার!
কেমন যেন পৃথিবী নিস্তরঙ্গ, অচল ঠাটেবাটে!
আমি বললাম, হতাশার মনে তো জীবনপাত,
তারমানে পাট চুকালো আশা বেচে থাকার!

(খ)
আমি বললাম, আশার ঘনঘটা, আশার দোলাচল
আশার মোহমায়া, আশার চিকচিক আভা
অথবা, আশার কালো নিকষ অন্ধকার!
এসবই আমার পছন্দের!
আমি হতাশা, আশাহীনতা, দুরাশা, নিরাশার
চাষাবাদ করি না।
যদি সম্ভব হয়, আমি হাটি হেটে যাই,
নি:শ্বাস নিই, নি:শ্বাস ফেলি!
তারপরও আমি হতাশার চাষ করি না!

(গ)
পরে আমায় বলা হয়!
তারপরও তো কিছু নেই আশা দেখার!
 বরঞ্চ আশাহীনতার উল্কি ঝলকায়
পলকে পলকে বেচে থাকার চেতনা
মরে বাচার অচেতনতায় পর্যবসিত হয়!

(ঘ)
আমি বলি!
চেতনা হারানোর মানে তো আগুন না থাকা!
আমি আগুনে আগুনে জীবনকে অনুভব করি!
আমার কাছে চেতনা না থাকার কোনো মানে নেই!
আমি আশা প্রত্যাশার সাথে বাসা বাধি!
আশা প্রত্যাশা আমার খেলার সাথি!
তাই,
আমি চেতনায় শান দিই!
আমি এক ঝলকায় বলি খুব চিৎকারে
হতাশার কোনো মানে নেই!
হতাশার কোনো চেতনা নেই!
হতাশায় কোনো আগুন নেই!
তার মানে তো তার জীবন ধুকধাক নেই!

এই যে বিপুলা পৃথিবী! এই যে গনগনে আভা!
এই যে ফিনকি জ্বলা লালে লাল!
এই যে, গতিময়তা, এই যে পথচলা!
এই যে ঠাটবাট, এই যে, ঘুম থেকে জাগা, জেগে ঘুমানো!
সবই একই দিকে ধাবিত! আর
সেই ধাবমানতার লক্ষ্য হলো চেতনা!
সেই ধাবমানতার উদ্দেশ্য হলো-
আগুনের আচ উপভোগ করা!
সেই ধামবানতার নিয়তি হলো-
হতাশাকে ঝেড়ে ফেলা!
এভাবে আরো কত কী উপমা আমি তোমায় দেবো!?


No comments:

Post a Comment

সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষাঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসংগ-১৯৪৭ সাল

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষা তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ইতিহাস একটি জাতি বা জাতিসত্তা তথা জাতিসমষ্টিকে নানাভাবে প্রভাবিত কর...